http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-15/news/178149
ত্রপা মজুমদার, মিশুক মুনীর
ত্রপা মজুমদার। মিশুক মুনীরের ফুপাতো বোন। ভাই আজ নেই। ত্রপার কাছে আছে কিছু স্মৃতি। এসব নিয়েই কথা হয় ত্রপা মজুমদারের সঙ্গে।
সর্বশেষ কবে দেখা হয় মিশুক মুনীরের সঙ্গে?
অনেক দিন আগে দেখা হয়েছিল। শেষবার যে বইমেলা হলো, সেখানেই দেখা হলো। আমি বইমেলায় ঢুকছি, এমন সময় দেখি যে তারেক মাসুদের একটি সিনেমার শুটিং করে বইমেলা থেকে মিশুকদা বেরোচ্ছেন। এরপর কথা হলো। বললাম, আপনি তো এখন অনেক বড় একটা জায়গায় যোগ দিয়েছেন। মিশুকদা হেসে বললেন, “দেখি, এটাকে আরও ভালো কিছু করা যায় কি না?” ‘আমি বললাম, ভালো কিছু করবেন নাকি আবার চলে যাবেন? মিশুকদা চলে গেলেন, তবে শুধু কর্মস্থল ছেড়ে নয়, আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।
পরিবারের মানুষ হিসেবে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলুন।
মিশুকদা ছিলেন প্রাণের প্রতীক হয়ে। হইচই করে কথা বলতেন। ভীষণ প্রাণবন্ত মানুষ। কখনো হতাশা দেখিনি তাঁর মধ্যে। আমার তো মনে হয়েছে, ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুম বা টিচিং তাঁকে বেশি আকর্ষণ করত না। বরং চ্যালেঞ্জিং কাজ তাঁকে বেশি আকর্ষণ করত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি তেমনই কাজ করতে। একটা অদ্ভুত মিলের কথা বলি। আমি, মিশুকদা এবং আমার আরেক খালাতো বোন কুর্রাতুল- আইন-তাহিমনা—আমার মিতি আপা—আমরা তিন ভাইবোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছি। সেখান থেকে বেরিয়ে ওই বিভাগেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। আবার তিনজনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।
মিশুক মুনীরের সঙ্গে কোনো কাজ করেছেন কি?
না। তবে মিশুকদার মাধ্যমেই আমরা স্টিল ক্যামেরা এবং এর ছবি দেখেছি। আমরা মুভি ক্যামেরা সম্পর্কে জেনেছি। পরিবারের মানুষ হিসেবে তাঁকে জেনেছি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনো কাজ করা হয়নি আমার। এর মধ্যে একদিন বাবা বললেন, “রানওয়ে ছবিটি দেখো। মিশুক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে।” আমি মিশুকদাকে ফোনে এ কথা বললাম। তিনি বললেন, “কী বলো।” সেই রানওয়ে আমার আর দেখা হয়নি।
ত্রপা মজুমদার, মিশুক মুনীর
ত্রপা মজুমদার। মিশুক মুনীরের ফুপাতো বোন। ভাই আজ নেই। ত্রপার কাছে আছে কিছু স্মৃতি। এসব নিয়েই কথা হয় ত্রপা মজুমদারের সঙ্গে।
সর্বশেষ কবে দেখা হয় মিশুক মুনীরের সঙ্গে?
অনেক দিন আগে দেখা হয়েছিল। শেষবার যে বইমেলা হলো, সেখানেই দেখা হলো। আমি বইমেলায় ঢুকছি, এমন সময় দেখি যে তারেক মাসুদের একটি সিনেমার শুটিং করে বইমেলা থেকে মিশুকদা বেরোচ্ছেন। এরপর কথা হলো। বললাম, আপনি তো এখন অনেক বড় একটা জায়গায় যোগ দিয়েছেন। মিশুকদা হেসে বললেন, “দেখি, এটাকে আরও ভালো কিছু করা যায় কি না?” ‘আমি বললাম, ভালো কিছু করবেন নাকি আবার চলে যাবেন? মিশুকদা চলে গেলেন, তবে শুধু কর্মস্থল ছেড়ে নয়, আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।
পরিবারের মানুষ হিসেবে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলুন।
মিশুকদা ছিলেন প্রাণের প্রতীক হয়ে। হইচই করে কথা বলতেন। ভীষণ প্রাণবন্ত মানুষ। কখনো হতাশা দেখিনি তাঁর মধ্যে। আমার তো মনে হয়েছে, ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুম বা টিচিং তাঁকে বেশি আকর্ষণ করত না। বরং চ্যালেঞ্জিং কাজ তাঁকে বেশি আকর্ষণ করত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি তেমনই কাজ করতে। একটা অদ্ভুত মিলের কথা বলি। আমি, মিশুকদা এবং আমার আরেক খালাতো বোন কুর্রাতুল- আইন-তাহিমনা—আমার মিতি আপা—আমরা তিন ভাইবোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছি। সেখান থেকে বেরিয়ে ওই বিভাগেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। আবার তিনজনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।
মিশুক মুনীরের সঙ্গে কোনো কাজ করেছেন কি?
না। তবে মিশুকদার মাধ্যমেই আমরা স্টিল ক্যামেরা এবং এর ছবি দেখেছি। আমরা মুভি ক্যামেরা সম্পর্কে জেনেছি। পরিবারের মানুষ হিসেবে তাঁকে জেনেছি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনো কাজ করা হয়নি আমার। এর মধ্যে একদিন বাবা বললেন, “রানওয়ে ছবিটি দেখো। মিশুক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে।” আমি মিশুকদাকে ফোনে এ কথা বললাম। তিনি বললেন, “কী বলো।” সেই রানওয়ে আমার আর দেখা হয়নি।
No comments:
Post a Comment